পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ বলদিয়া ইউনিয়নে একের পর এক মন্দ কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে ডুবি গ্রামের মোঃ মানিকের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীরের(৪৭) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় বলদিয়া ইউনিয়নের ডুবি গ্রামসহ সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে অনৈতিক কাজ কর্ম করে চরম বিতর্কিত। লাজলজ্জা হীন ও বদ চরিত্রের লোক হওয়ার কারণে সমাজের নুতন প্রজন্মের কিশোর সমাজ সহ সচেতন মহল দারুণ আতঙ্কিত। চরিত্র হীন ও লম্পট চরিত্রের কারণে সমাজের বিভিন্ন শালিসি বৈঠকে জুতাপিটা সহ বহু জরিমানা দিয়ে দারুণ নিন্দিত হয়েছে। স্থানীয় বহু লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলেই আমাদের এলাকায় মোঃ জাহাঙ্গীর নিঃসন্দেহে একজন বদ চরিত্রের লোক। এলাকার অল্প বয়সী মেয়েরা সহ অন্যের বধুরাও নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে একতা বাজারের বহু বাসিন্দারা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের এলাকায় ট্রলারের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে আসে জাহাঙ্গীর। কিন্তু কয়দিন পর ট্রলারের মালিকের বউয়ের সাথে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে। সেই সময়ে স্থানীয় শালিসি বৈঠকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে এলাকার দুই শিক্ষক মিডিয়াকে বলেন গত কয়েক বছর আগে এক স্কুল পড়ুয়া বালিকার সাথে জোর করে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে লম্পট মোঃ জাহাঙ্গীর। ঐ সময়ে ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয় স্থানীয় শালিসি বৈঠকে। এদিকে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন বলেন, নষ্ট চরিত্রের জাহাঙ্গীরের লোলুপ দৃষ্টি এড়াতে পারেননি আপন শালিও। হীন চরিত্রের অধিকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আপন শালিকেও ছাড়েনি। তৎকালীন সময়ে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে ১০০ জুতাপিটা সহ ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে ডুবি এলাকায়ও কুমারী বালিকারা নিরাপদ নয়। আর একটি ঘটনায় স্কুল পড়ুয়া বালিকার সাথে জোর করে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে অবশেষে পাকরাও হয় জাহাঙ্গীর। এলাকার সাধারণ মানুষের চাপে সেই সময়ে সেলিম মেকার বিচার করেন কঠিন ভাবে। সামাজিক লজ্জা সহ বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে ভুল করেনি। পাশাপাশি এখানেও নগত ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয় অসহায় পরিবারের কথা চিন্তা ভাবনা করে। তবে ভিন্ন কথা বলেন এলাকার বেশ কিছু প্রবীণ ব্যাক্তিরা। তারা অকপটে বলেন আমাদের এলাকায় লুচ্চা জাহাঙ্গীর হিসেবে সকলে একনামে চিনে। আসলেই লম্পট জাহাঙ্গীর নষ্টের চেয়ে নষ্ট। কুলাঙ্গার চরিত্রের জাহাঙ্গীরের কাছে চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিও নিরাপদ নয়। সরেজমিনে গণ মাধ্যম কর্মীরা চলতি সপ্তাহে ডুবি এলাকায় জান সঠিক তথ্য উদঘাটন করার নিমিত্তে। জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপ চারিতায় এলাকার কেহই ভালো বলেনি। এক কথায় বাজে চরিত্রের অধিকারী মোঃ জাহাঙ্গীর। কু-চিন্তা, কু-কাম ও কু-মতলব নিয়েই দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে আপন মহিমায়। এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেন মুঠোফোনে গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিকদের পরিচয় পাওয়ার পর কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব এড়িয়ে যায় বিতর্কিত জাহাঙ্গীর। অবশ্য এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সাবেক মেম্বার মোঃ সহিদের ছত্রছায়ায় টিকে আছে। অবশ্য ডুবি বাজারের বহু ব্যাবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সাবেক সহিদ মেম্বার একজন নামকরা জুয়াডি। পবিত্র মাহে রমজানের মাসও করোনার কঠিন দুঃসময়েও বাদ যায়নি তার জুয়ার আসর। লুচ্চা জাহাঙ্গীর হল সাবেক মেম্বার সহিদের জুয়াডীর পাটনার। আর সেই আলোকে স্থানীয় সাবেক মেম্বার হীনস্বার্থের জন্য বদ চরিত্রের জাহাঙ্গীরকে সাপোর্ট দিচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। গত বছর কেসিনো জুয়ায় ট্রলারে ধরা খায় সাবেক মেম্বার মোঃ সহিদ।সহিদের স্ত্রী জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিল। আর সেই কারণে নিজ স্ত্রীকে মুখ বন্ধ রাখতে স্পর্শকাতর স্থানে গুডা মরিচ দিতেও কার্পনতা বোধ করেননি। এদিকে এলাকার সাবেক মেম্বার মোঃ সহিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর পরই মোবাইল ফোন কেটে দেয় ব্যাস্ততার কথা বলে। ইউনিয়নের মোঃ শাহীন চেয়ারম্যান কঠিন বিচার করতে দ্বিধা বোধ করেছিল সহিদ মেম্বারের কিন্তু চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছিল। এদিকে সর্বশেষ তথ্য মতে বলদিয়া ইউনিয়নের বেশীরভাগ লোকজন বিতর্কিত ও বদ চরিত্রের জাহাঙ্গীরের বিচারের দাবীতে স্বোচ্ছার। দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রাণের দাবী কঠিন বিচার হোক। জরিমানা নয় বরং কঠিন বিচারের আওতায় আনা হোক বদ চরিত্রের ও বিতর্কিত মোঃ জাহাঙ্গীরের।
Leave a Reply